ads
২০ মে, ২০২৫

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের বিপণীকেন্দ্র ও আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা

অনলাইন ডেস্ক

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের বিপণীকেন্দ্র ও আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা

16px

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বিকল্প ধারার সাবেক মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের বিপণীকেন্দ্র ও আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। এসময় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরা ভাঙচুর ও ক্যামেরাপারসনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে উপজেলার সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়কের পাশে সোয়েটার কারখানায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। এতে হামলাকারীরা অনুষ্ঠানের মূল ফটকের তোরণ, ভেতরের চেয়ার ভাঙচুর করে।

এদিকে হামলার ভিডিও ধারণ করায় চ্যানেল২৪ এর নোয়াখালীর ক্যামেরাপারসন আবদুর রাজ্জাককে পিটিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীরা এ সময় তার কাছ থেকে ভিডিও ক্যামেরা ভাঙচুর ও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

মেজর মান্নানের প্রকল্পে ছাত্র-যুবদলের হামলা, অনুষ্ঠান পণ্ড

স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টায় সুবর্ণচর উপজেলার হারিছ চৌধুরীর বাজারের ওই প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রকল্পের মালিক আবদুল মান্নান হেলিকপ্টারে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। সেখানে কয়েক মিনিট অবস্থান করে তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি চলে যান।

পরে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর আগমুহূর্তে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আতিকুর রহমান ওরফে অশ্রু ও শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সোহরাওয়ার্দীসহ ১৫-১৬ জন দলীয় নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালান। হামলাকারীরা শুরুতে অনুষ্ঠানের প্রবেশপথে নির্মাণ করা তোরণের কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় হামলাকারীরা অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তিদের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করেন।

আহত ক্যামেরাপারসন আবদুর রাজ্জাক বলেন, একদল তরুণ হঠাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে অনুষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর করতে দেখে আমি ক্যামেরা নিয়ে এগিয়ে যাই। এসময় তারা ‘কেন ভিডিও করেছি’ এ বলে মারধর শুরু করেন। এতে আমার বাঁ হতে আঘাত পাই এবং ক্যামেরাটিও ভাঙচুর করা হয়।

 

 

মেজর মান্নানের প্রকল্পে ছাত্র-যুবদলের হামলা, অনুষ্ঠান পণ্ড

আবদুল জলিল নামে উপস্থিত এক ব্যক্তি জানান, ঘটনার সময় চরজব্বর থানার একদল পুলিশ অনুষ্ঠানস্থলের সামনে থাকলেও তারা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। পুলিশের সামনে যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছে।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান অশ্রু বলেন, মেজর মান্নান আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন করার খবর জানতে পেরে উত্তেজিত লোকজন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করেছেন। তিনি স্বৈরাচারের দোসর

এ বিষয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, বিএনপির লোকজন মিছিল করেছে শুনেছি। এ কারণে আর অনুষ্ঠান হয়নি। হামলার বিষয়টি আমার জানা নাই।

এই বিভাগের আরও খবর

dainikamarbangla

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ